চেতনানাশক ক্যামিক্যাল মিশ্রিত জুস খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রোববার (৬ নভেম্বর/২০২২) ৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ নভেম্বর/২০২২) গ্রেফতার আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী। তিনি জানান, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি; না, সেটাও তদন্তে বেড়িয়ে আসবে।
গ্রেফতারকৃত হলেন নান্দাইল উপজেলার সৈয়দগাঁও গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র মো. সুমন মিয়া (৩২), আতকাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের পুত্র মো. শহিদুল্লাহ শহিদ (৪০) ও পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের দেউলী গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ পুত্র আলমগীর হোসেন (৫০)।
ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কের বেলতলী এলাকা থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ। অজ্ঞান হওয়ার পর চালক আব্দুল হককে মৃত ভেবে রাস্তার নিচে ফেলে দেয় ছিনতাইকারী চক্রটি। তিনি রামগোপালপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আমির হোসেনের পুত্র। চালককে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অটোচালকের ছোট ভাই মো. এনামুল হক বাদী হয়ে রোববার রাতে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, তার ভাই আব্দুল হক রামগোপালপুরের সাজিদ সেবা মটরসের নিকট থেকে কিস্তিতে ২লাখ টাকা মূল্যের লাল রঙের ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা কিনেন। রোববার বিকাল ৩টার দিকে শ্যামগঞ্জে রিজার্ভ ভাড়া নেয় যাত্রীবেশে এ চক্রটি। চেতনানাশক খাওয়ানোর পর মারা গেছে ভেবে রাস্তায় গাভীশিমুল এলাকা তাকে ফেলে রেখে যায়। বিষয়টি বিপরীত দিক থেকে আসা কাউরাট গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র অটোরিকশা চালক জুলহাস মিয়া (১৮) বুঝতে আমার ভাইকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মচিমহায় প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গুজিখাঁ গ্রামের কাজ্জাত আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া ও জুলহাস মিয়া খোঁজাখুঁজি করিয়া অটোরিকশাটি ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা মহাসড়কের সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী এলাকায় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহজালাল জানান, গ্রেফতারকৃতরা অটোরিকশা ছিনতাইচক্রের সদস্য। সুমনের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের সদর থানায় ও শহিদের বিরুদ্ধে নরসিংদীর মনোহরদী থানায় চুরির মামলা রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের দেউলী গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ পুত্র আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে জানান, তারা প্রতিটি গাড়ী উপজেলার সীমানা পাড় করতে দিতে পারলে প্রত্যেককে ৪হাজার টাকা করে পান। জুসে ক্যামিক্যাল মেশিয়েছে তাদের বস জসিম উদ্দিন। তিনি প্রাইভেটকারে ছিলেন ঘটনার পরপরেই পালিয়ে গেছে।